ইসলামিক উক্তি

ইসলামিক উক্তি ১০০০+ কুরআন, হাদিস, সাহাবা ও মনীষীদের উক্তি

ইসলাম হলো শান্তি, প্রেম ও ন্যায়ের ধর্ম। কুরআন, হাদিস ও সাহাবীদের জীবনী থেকে আমরা পাই অসংখ্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণামূলক বাণী। এই পোস্টে আমরা সংগ্রহ করেছি ১০০টি ইসলামিক উক্তি, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।

ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ও বাণী

ইসলামের বাণী আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথ দেখায়। নবী করীম ﷺ, সাহাবায়ে কেরাম, এবং জ্ঞানী আলেমদের উক্তি আমাদের অন্তরকে আলোকিত করে এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। নিচে কিছু মূল্যবান ইসলামিক উক্তি সুন্দরভাবে সাজানো হলো

জ্ঞানী মনীষীদের উক্তি

  • “আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।”
    — শেখ সাদী

হযরত ওসমান (রা.) এর উক্তি

  • “অন্তরসমূহ যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে আল্লাহর গ্রন্থ কুরআনুল কারীমে তাদের তৃষ্ণা কখনো সম্পূর্ণ মিটবে না।”
  • “দুনিয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, আখিরাত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো আলোকিত।”

হযরত ওমর (রা.) এর উক্তি

  • “তোমাদের মধ্যে যারা ফাতওয়া দেয়ার ব্যাপারে দুঃসাহসী তারা দুঃসাহসী (পাপ করে) জাহান্নামে যাওয়ার ব্যাপারেও।”
  • “নিজেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কথা স্মরণ করিয়ে দাও, কারণ তাতে রয়েছে রোগের উপশম। মানুষজনের কথা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়ো না, কেননা ওটা হলো রোগ।”
  • “প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ভিত্তিগুলো একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি ইসলামে এমন মানুষদের আবির্ভাব হয় যারা কখনো অজ্ঞতাকে চিনতে পারেনি।”
  • “নিজেকে নিয়মিত জাহান্নামের (আগুনের) কথা স্মরণ করিয়ে দিন, কেননা নিশ্চিতভাবেই জাহান্নামের উত্তাপ অত্যন্ত বেশি, গভীরতা অত্যাধিক এবং তার অস্ত্র হলো লোহা।”
  • “কোন ভাই আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবুও কথাগুলো আপনার জন্য আমানত।”
  • “জাহিলিয়াতের প্রকৃতি অনুধাবনে ব্যর্থতা শুরু হলে একে একে ইসলামের বন্ধনী বিচ্ছিন্ন হতে থাকবে।”
  • “এসো আমরা আমাদের ঈমানকে বাড়াই, আর তাই চলো আমরা আল্লাহকে স্মরণ করি।”
  • “কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখে বোকা হয়ে যেয়ো না, কারণ তখন আমরা কেবল শব্দগুলো উচ্চারণ করি। বরং তার দিকে লক্ষ্য করো, যে কুরআন অনুযায়ী আমল করলো।”
  • “আমি সাদা পোশাক পরিহিত কুরআন তিলাওয়াতকারীর দিকে তাকাতে ভালোবাসি।”
  • “আল্লাহর আনুগত্য করা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একজন ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক থাকে না।”
  • “আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।”
  • “তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।”
  • “যতক্ষণ তোমার ভাইয়ের বলা কোনো কথার ব্যাপারে তোমার কাছে ভালো কোনো ব্যাখ্যা আছে, ততক্ষণ তা নিয়ে খারাপ ধারণা পোষণ করবে না।”
  • “যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠাবসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল।”
  • “কোন মুসলিম ভাইয়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসা কোনো শব্দের কারণে তার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটির পেছনে ভালো কোনো কারণ খুঁজে পাবেন।”
  • “তোমরা অন্যদের আরবি ভাষা শেখাও, কেননা এটা তোমাদের দ্বীনের একটি অংশ।”

হযরত মুহাম্মদ এর বাণী

  • “আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে অবশ্যই তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন।”

হযরত আলী (রাঃ) এর অনুপ্রেরণামূলক উক্তি

হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা, মহান সাহাবি এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অনন্য ভাণ্ডার। তাঁর উক্তিগুলো শুধু গভীর অর্থবহ নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক। নিচে তাঁর কিছু নির্বাচিত উক্তি দেওয়া হলো:

জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে

  • “বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।”
  • “যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না।”
  • “বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না।”

পাপ ও নৈতিকতা সম্পর্কে

  • “যেসব পাপকাজ তোমরা গোপনে করে থাকো সেগুলোকে ভয় করো, কেননা সেসব পাপের সাক্ষী বিচারক স্বয়ং নিজেই।”
  • “কল্যাণপ্রাপ্ত তো সেই ব্যক্তি যার নিজের পাপসমূহ তাকে অন্যদের পাপের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ থেকে বিরত রাখে।”
  • “অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। অতিরিক্ত সমালোচনা ঘৃণা এবং খারাপ চরিত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”
  • “অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে।”

আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে

  • “কার্পণ্য ত্যাগ করো, নতুবা তোমার আপনজনেরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।”
  • “হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের।”
  • “আপনার গর্বকে ছুঁড়ে ফেলুন, দাম্ভিকতাকে দমিয়ে দিন আর আপনার কবরকে স্মরণ করুন।”
  • “অযাচিত দানই দান। চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে।”
  • “আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করুন, এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”
  • “যে নিজের মর্যাদা বোঝে না, অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না।”

জীবন ও সুখ সম্পর্কে

  • “স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।”
  • “সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ।”
  • “সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি সেই যাকে আল্লাহ তাআলা একজন পূণ্যবতী জীবনসঙ্গীনি দান করেছেন।”

সম্পর্ক ও সামাজিক আচরণ সম্পর

  • “মনে রেখো, তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।”
  • “কারো অধঃপতনে আনন্দ প্রকাশ কোরো না, কেননা ভবিষ্যত তোমার জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছে সে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞানই নেই।”
  • “বড়দের সম্মান করো, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে।”
  • “যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।”

আরো পড়ুন: ১০০+ ইসলামিক শিক্ষামূলক উক্তি

আল্লাহর রহমত ও শিক্ষা সম্পর্কে

  • “সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান, যিনি পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে আশা ও আত্মবিশ্বাস না হারানোর জন্য মানুষকে উপদেশ দেন।”

ইসলামিক উক্তি: হযরত আবু বকর (রা.) ও কুরআন-হাদিস থেকে

হযরত আবু বকর (রা.) এর উক্তি

  • “মৃত্যুকে খোঁজো, তাহলে তোমাদেরকে জীবন দান করা হবে।”
  • “সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়।”
  • “পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে সবর করার চেয়ে পরীক্ষা থেকে সুরক্ষিত থেকে কৃতজ্ঞ হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দের।”
  • “অপরের কষ্ট দূর করার জন্য কষ্ট করার মাঝে রয়েছে মহত্বের প্রকৃত নির্যাস।”
  • “আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়।”

কুরআন থেকে বাণী

  • “যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” — সূরা তালাক, ৬৫:৩
  • “আল্লাহ সেই জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে না।” — সূরা রাদ, ১৩:১১
  • “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” — সূরা বাকারা, ২:১৫৩
  • “আল্লাহর উপর ঈমান রাখো, আর নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করো।” — সূরা মা’ইদাহ, ৫:১০
  • “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাক কবুল করব।” — সূরা গাফির, ৪০:৬০
  • “তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখো।” — সূরা ইমরান, ৩:১০৪
  • “সত্যবাদী হও, কারণ সত্য মুক্তি দেয়।” — সূরা ইমরান, ৩:১৭

হাদিস থেকে বাণী

  • “ক্ষমা হলো আল্লাহর নিকট প্রিয়।” — বুখারী
  • “খাবার অপচয় করো না, কারণ অপচয় আল্লাহর অপছন্দনীয়।” — সূরা আরাফ, ৭:৩১
  • “নম্রতা হলো ঈমানের পরিচায়ক।” — বুখারী
  • “তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেই জিনিস কামনা করে যা সে নিজের জন্য কামনা করে।” — বুখারী ও মুসলিম
  • “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।”
  • “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ করে।”
  • “দয়া করো, কারণ আল্লাহ দয়ালুদের ভালোবাসেন।” — সূরা বাকারাহ, ২:১৯৫
  • “কোনো কাজের উদ্দেশ্য যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি হয়, তবে সে কাজ কবুল হয়ে যাবে।”
  • “তোমার মা-বাবার সাথে সদাচরণ করো, কারণ তাদের সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি।” — বুখারী
  • “যে ব্যক্তি সময়ের মূল্য দেয় না, সে কখনো সফল হতে পারে না।” — বুখারী
  • “আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমরা সবাই সমান, তুমি ধনী হও বা গরীব।”

১০০টি ইসলামিক উক্তির সংগ্রহ

ইসলাম আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ধৈর্য, দোয়া, ইবাদত ও সৎকর্ম হলো একজন মুসলিমের মূল ভিত্তি। নিচে কুরআন, হাদিস এবং ইসলামি প্রজ্ঞা থেকে নেওয়া ১০০টি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি সাজানো হলো।

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা

  1. আল্লাহ সবসময় আমাদের সাথে আছেন, তাই আমরা কখনো নিরাশ হতে পারি না।
  2. আল্লাহ সবসময় আমাদের সাথে আছেন, তাই আমরা কখনো একা নই।
  3. যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। — সূরা তালাক, ৬৫:৩
  4. আল্লাহ সবসময় আমাদের সাহায্য করবেন, যদি আমরা তার উপর ভরসা করি।
  5. তোমাদের মধ্যে কেউ যদি বিপদে পড়ে, তবে আল্লাহর উপর ভরসা করো।
  6. আল্লাহর উপর ঈমান রাখো, আর নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করো। — সূরা মা’ইদাহ, ৫:১০
  7. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। — সূরা যুমার, ৩৯:৫৩
  8. আল্লাহ সবসময় আমাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত, যদি আমরা তাকে ডাক দিই।
  9. আল্লাহ সবসময় আমাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত, যদি আমরা ক্ষমা চাই।
  10. আল্লাহ সবসময় আমাদের দেখছেন, তাই সচেতন থাকো।

ইবাদত ও সৎকর্ম

  1. আল্লাহর ইবাদত করো এবং তিনি তোমাদের জীবনের প্রতিটি দিক সুন্দর করে তুলবেন।
  2. আল্লাহর ইবাদত করো এবং তোমাদের জীবন শান্তিতে পরিপূর্ণ হবে।
  3. আল্লাহর ইবাদত করো এবং তোমরা সফল হবে।
  4. আল্লাহর ইবাদত ও দোয়া আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্বল।
  5. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা যা কিছু করো, তা সবসময়ই ইবাদত।
  6. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিটি কাজই ইবাদত।
  7. কোনো কাজের উদ্দেশ্য যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি হয়, তবে সে কাজ কবুল হয়ে যাবে।
  8. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করো এবং তিনি তোমাদের পুরস্কৃত করবেন।
  9. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চাইলে, সবসময় সৎকর্ম করো।
  10. মুমিনের মধ্যে যারা অন্যদের সাহায্য করে, তারা আল্লাহর কাছে প্রিয়।

কুরআনের বাণী

  1. আল্লাহ সেই জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে না। — সূরা রাদ, ১৩:১১
  2. নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। — সূরা বাকারা, ২:১৫৩
  3. তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাক কবুল করব। — সূরা গাফির, ৪০:৬০
  4. আল্লাহ তোমাদের কর্মফল দেখবেন, তাই সৎকর্ম করো। — সূরা তাওবা, ৯:১০৫
  5. আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তিনি সর্বদা সহায়। — সূরা ইমরান, ৩:১৬০
  6. খাবার অপচয় করো না, কারণ অপচয় আল্লাহর অপছন্দনীয়। — সূরা আরাফ, ৭:৩১
  7. দয়া করো, কারণ আল্লাহ দয়ালুদের ভালোবাসেন। — সূরা বাকারাহ, ২:১৯৫
  8. সত্যবাদী হও, কারণ সত্য মুক্তি দেয়। — সূরা ইমরান, ৩:১৭
  9. তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখো। — সূরা ইমরান, ৩:১০৪
  10. যারা ক্ষমা করে, আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করেন। — সূরা নূর, ২৪:২২

হাদিসের বাণী

  1. ক্ষমা হলো আল্লাহর নিকট প্রিয়। — বুখারী
  2. নম্রতা হলো ঈমানের পরিচায়ক। — বুখারী
  3. তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সেরা, যে কুরআন শেখে এবং অন্যদের শেখায়। — বুখারী
  4. তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেই জিনিস কামনা করে যা সে নিজের জন্য কামনা করে। — বুখারী ও মুসলিম
  5. জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ।
  6. তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ করে।
  7. তোমার মা-বাবার সাথে সদাচরণ করো, কারণ তাদের সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি। — বুখারী
  8. যে ব্যক্তি সময়ের মূল্য দেয় না, সে কখনো সফল হতে পারে না। — বুখারী
  9. দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র। — মুসলিম
  10. সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া সর্বদা কবুল হয়। — তিরমিজি

জীবন, চরিত্র ও সমাজ

  1. আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমরা সবাই সমান, তুমি ধনী হও বা গরীব।
  2. ধনী-গরীবের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, আল্লাহর দৃষ্টিতে সবাই সমান।
  3. আল্লাহর নিকট সব মানুষ সমান, কেউ বড় নয়, কেউ ছোট নয়।
  4. প্রকৃতি হলো আল্লাহর একটি আমানত। তোমাদের উপর এর সঠিক যত্ন নেওয়া ফরজ।
  5. আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং তার জ্ঞান অপরিসীম।
  6. জ্ঞান আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত একটি মূল্যবান উপহার।
  7. আল্লাহর পথে চলা মানেই হলো সঠিক পথে চলা।
  8. ঈমানের চূড়ান্ত ফল হলো আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস।
  9. আল্লাহর হুকুম পালন করাই হলো প্রকৃত সফলতা।
  10. সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ ইসলামের মূলনীতি।

৫১–৭৫: ঈমান, দোয়া ও ধৈর্য

  1. আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করো এবং তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন।
  2. আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
  3. আল্লাহ সবসময় আমাদের দেখছেন এবং আমাদের প্রতিটি কাজের হিসাব নিচ্ছেন।
  4. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান দিতে প্রস্তুত, যদি তোমরা তার উপর ভরসা করো।
  5. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি দিক সফল করবেন, যদি তোমরা তার হুকুম পালন করো।
  6. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান দেবেন, যদি তোমরা তার উপর ভরসা করো।
  7. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি দিক সুন্দর করে তুলবেন, যদি তোমরা তার হুকুম পালন করো।
  8. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান দেবেন, যদি তোমরা তার উপর ভরসা করো।
  9. আল্লাহ তোমাদের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান দেবেন, যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করো।
  10. আল্লাহর পথে চলা মানেই হলো সফলতার পথে চলা।
  11. আল্লাহ তোমাদের শক্তি দিবেন, যদি তোমরা তার পথে চলো।
  12. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা মানে হলো জীবনের সঠিক পথে চলা।
  13. আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং সবকিছুতে প্রভাবশালী।
  14. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রাখো এবং তার প্রতি সর্বদা ধন্যবাদজ্ঞাপন করো।
  15. আল্লাহর হুকুম পালন করলে, তিনি তোমাদের জীবনকে সহজ করে দেবেন।
  16. আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা মানে হলো সফল হওয়া।
  17. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তুমি যা কিছু করো, তা সবসময়ই ইবাদত।
  18. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমরা যা কিছু করো, তা সবসময়ই সফলতা আনবে।
  19. আল্লাহর ইবাদত করো এবং তিনি তোমাদের জীবনের প্রতিটি দিক সফল করবেন।
  20. আল্লাহর ইবাদত করো এবং তোমাদের প্রতিটি কাজ বরকতময় হবে।
  21. আল্লাহর দয়া সবকিছুর থেকে বড়, তাই কখনো হতাশ হয়ো না।
  22. আল্লাহর কাছে দোয়া করো, কারণ তিনিই প্রার্থনা কবুল করেন।
  23. দোয়া হলো মুমিনের ঢাল।
  24. আল্লাহ সবসময় দোয়া কবুল করেন, যদি তা কল্যাণকর হয়।
  25. ধৈর্য হলো ঈমানের অর্ধেক।

৭৬–১০০: নৈতিকতা, পরিবার ও সমাজ

  1. তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ভালোবাসে, সে আল্লাহর নিকট প্রিয়।
  2. আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে উত্তম মানুষ সেই, যে মানুষের উপকারে আসে।
  3. আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো নিয়মিত আমল, যদিও তা ছোট হয়।
  4. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে চাইলে, অহংকার ত্যাগ করো।
  5. আল্লাহর নিকট প্রতিটি সৎকর্ম মূল্যবান।
  6. আল্লাহ সেই জাতিকে নেতৃত্ব দেন না, যারা নিজেদের সাহায্য করে না।
  7. প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করো, এটি ঈমানের অংশ।
  8. যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর জন্য সৎকর্ম করে, সে আল্লাহর নিকট প্রিয়।
  9. আল্লাহর পথে যারা খরচ করে, আল্লাহ তাদের সম্পদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন।
  10. আল্লাহর হুকুম পালন করতে কোন কষ্ট হলে, তাতে ধৈর্য ধরো।
  11. মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা সদকা।
  12. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।
  13. অন্যায়ভাবে কারো ক্ষতি করো না, কারণ আল্লাহ ন্যায়বিচারী।
  14. আল্লাহ তোমাদের প্রতিটি ভালো কাজের প্রতিদান দিবেন।
  15. আল্লাহর পথে ব্যয় করা দান কখনো কম হয় না।
  16. আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলো মিথ্যা।
  17. আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো সত্যবাদিতা।
  18. আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সেই, যে মানুষের কষ্ট দূর করে।
  19. আল্লাহর কাছে অহংকারী মানুষদের কোন মর্যাদা নেই।
  20. আল্লাহর কাছে বিনয়ী মানুষদের মর্যাদা উঁচু।
  21. আল্লাহর নিকট প্রতিটি নেক কাজের মূল্য অশেষ।
  22. আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো “আব্দুল্লাহ” ও “আব্দুর রহমান।”
  23. আল্লাহ সবসময় অন্যায়কারীদের অপছন্দ করেন।
  24. আল্লাহর পথে চললে জীবনের প্রতিটি দিক বরকতময় হয়।
  25. আল্লাহর পথে ধৈর্য ধারণ করো, সফলতা অবশ্যম্ভাবী।

মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক বাণী ও উক্তি

  1. যারা নিজেদের জন্য রাগে, কিন্তু রবের জন্য রাগে না; নিজেদের জন্য নেয়, কিন্তু অন্য কাউকে দেয় না— তারা নিকৃষ্ট সৃষ্টি। তাদের মাধ্যমে দ্বীন-দুনিয়ার কোনো ইসলাহ হবে না।
    — ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ)
  2. আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আগ পর্যন্ত ইমানদারের কোনো স্বস্তি নেই।
    — সাহাবি আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ (রা.)
  3. রাগের বশে কখনো একজন মানুষ এমন কথাও বলে, যার মাধ্যমে সে নিজের ষাট-সত্তর বছরের আমল ধ্বংস করে ফেলে।
    — আত্বা ইবন আবী রাবাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
  4. সর্বনাশ তো তার জন্য, যার নেকীর কাজগুলো দশগুণ করে বাড়িয়ে দেওয়া সত্বেও, তার কৃত পাপের পরিমাণই বেশি।
    — ইবনু মাসঊদ (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু)
  5. যে কথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত হয়, তা হলো আমার জন্য যা নির্ধারিত আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু আমার পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য নির্ধারিত ছিলো না।
    — ইমাম শাফিঈ (রহ.)
  6. ঈমানদার কখনো আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে যায়না বা প্রতিশোধ নিতে যায়না, এমনকি অন্যের খুঁত ধরতে এবং তাদের নিন্দা করতেও যায় না।
    — ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহ.)
  7. এমন এক সময় আসবে যখন মানুষের অন্তর মরে যাবে অথচ দেহ জীবিত থাকবে।
    — সুফিয়ান সাওরী (রহ.)
  8. কত বোকা সেই ব্যক্তি, যে জানে না তার মৃত্যু কখন হানা দেবে, কিন্তু এখনো সে এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে প্রস্তুত নয়।
    — ইবনে জাওযী (রহ.)
  9. নিজের প্রতি কঠোর হও, অন্যের প্রতি হও কোমল।
    — ইমাম শাফি’ঈ (রহ.)
  10. বিলাসী জীবনযাপন কোরো না; কষ্টসহিষ্ণু হও, কারণ বিলাসিতা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
    — উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
  11. আপনি যদি চান যে আল্লাহ অবিরত আপনার চাওয়া পূরণ করুন তাহলে আপনিও আল্লাহর প্রিয় কাজগুলো করতে অটল থাকুন।
    — ড. বিলাল ফিলিপ্স
  12. যারা আপনাকে সংশোধন করে দেয় তাদেরকে ধন্যবাদ দিন। কারণ সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদেরকে আপনার ভুল-ত্রুটি নির্বাচন করার জন্য পাঠিয়েছেন।
    — মুফতি ইসমাইল মেনক
  13. প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর (রহ.) বলেন, ‘কোন ঘরে তিনটি গুনাহের কারণে ঘরের বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তা হলো:
    ১) অপচয়,
    ২) যিনা,
    ৩) খিয়ানত।
    — হিলইয়াতুল আওলিয়া, আসবাহানী
  14. দুটি জিনিসের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছা যায় না:
    ১) মানুষের সন্তুষ্টি
    ২) সম্পদের লোভ
    — সুফিয়ান সাওরী (রহ.)
  15. দু’জন যদি একে অপরকে গুনাহের কাজে সহায়তা করে, তাদের সম্পর্ক পরস্পরের প্রতি ঘৃণা নিয়ে শেষ হবে।
    — ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহ.)
  16. “একটি শিশুর ফিতরাতে (সহজাত প্রবণতা, স্বভাব) মায়ের দুধের প্রতি ভালোবাসা যতটা থাকে, তার চাইতে বান্দার ফিতরাতে রবকে ভালোবাসার মাত্রা বিপুল পরিমাণে বেশি থাকে।”
    — ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ)
  17. কত বোকা সেই ব্যক্তি, যে জানে না তার মৃত্যু কখন হানা দেবে, কিন্তু এখনো সে এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে প্রস্তুত নয়।
    — ইবনে জাওযী (রহ.)
  18. কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
    — কবি আল মাহমুদ
  19. হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে, অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও, আর আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
    — সূরা ফাজর ৮৯:২৭–৩০
  20. মৃত্যুকে ভয় পাওয়া মানে তা থেকে পালিয়ে বেড়ানো নয়, বরং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া।
  21. হতভাগা সেই যে মরে যায় অথচ তার পাপকর্মগুলো রয়ে যায়।
  22. তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও।
    — সূরা আন নিসা, আয়াত: ৭৮
  23. যখন আল্লাহ কোন বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তাকে দুনিয়াদারী থেকে ঠিক সেইরুপ বাঁচিয়ে নেন; যেরুপ তোমাদের কেউ তার রোগী ব্যক্তিকে পানি থেকে সাবধানে রাখে।
    — তিরমিযী ২০৩৬, হাকেম ৭৭৬৪
  24. সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো?
    — ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)
  25. জন্মের পর একমাত্র নিশ্চিত বিষয়টা হলো মৃত্যু। অথচ আমরা এটার ব্যাপারেই সবচেয়ে বেশি বেখবর।
  26. নিকৃষ্ট তো সেই মৃতব্যক্তির পরিবারের মানুষগুলো, যারা মৃত মানুষটির জন্য কান্নাকাটি করে অথচ তার রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ করে না।
    — ইমাম আল-হাসান আল-বাসরি
  27. মুসলিম মনীষীদের মতে, মানুষের অন্তর মরে যাওয়ার আগেই দেহ জীবিত থাকলেও, বাস্তবিক মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অপরিহার্য।

আরো পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের লোন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *